|
---|
আচ্ছা! তোমার কি আজও মনে পরে
আমাদের প্রথম দেখার কথাটা
শ্রাবণের বৃষ্টিমূখর সন্ধ্যায়
দুজনে বাসস্টপিজে বসে ছিলাম।
তখনো বাস আসেনি,
কদমফুল হাঁতে গুটিকয়েক বাঁচ্চা
ছেলে-মেয়ে এসেছিল ফুল বিত্রুির জন্য।
কিন্তু ফুল দেওয়ার মতো
তখনো কেউ হয়ে উঠেনি আমার জীবনে।
তাইতো ফুলগুলো না কিনেই বিদায়
জানাতে হয়েছিল তাদেরকে।
সেদিন মনটা ভীষন খারাপ হয়েছিল
ফুলগুলো কিনতে পারিনি বলে নয়,
পাশে বসে থাকা রমনীকে
ফুলগুল দেওয়ার সুযোগটা
হাঁতছাড়া হয়েছিল বলে।
১২০ মিনিট দুজনে পাশাপাশি বসে ছিলাম
তবুও একটিবারও কথা হয়নি আমাদের।
নীরবতা যেন আমাদেরকে গ্রাস করেছিল সেদিন।
সাহসের নিদারুণ পরীক্ষা দিতে হয়েছিল সেদিন আমাকে।
হয়তো ধৈর্যের সীমারেখাটা বেশি ছিল
বলেই এতক্ষণ অপেক্ষা করতে পেরেছিলাম।
তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছে কয়েকবার,
কখনো দেখেছি বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে থাকতে
কিন্তু যেদিন তোমায় চিলেকৌঠায় বৃষ্টিতে ভিজতে দেখেছি,
সেদিন আর নিজেকে সামলাতে পারিনি।
মনের অগোচরেই মনের একটা
স্থান জুড়ে তোমার ভালোবাসা
দখলদারিত্ব নিয়েছিল।
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী
ভালোবাসাটা শুধু আমি একাই
বহন করে চলেছি,
তোমায় বলতে পারিনি।
তুমি আসবে বলে
তোমার জন্য বাসস্টপে অপেক্ষা করেছি।
তুমি বেলকুনিতে আসবে বলে
রাস্তার সামনের চায়ের দোকানটায়
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেছি।
তুমি আসবে বলে
ইচ্ছে করেই বাস ছেঁড়ে দিয়েছি।
তুমি আসবে বলে
আজও হৃদয়ের কুঠুরিতে কদম সাঁজিয়ে রেখেছি।
আজও প্রহর গুনছি তোমার অপেক্ষাতে,
তুমি আসবে বলে।