মে দিবস
ইমদাদুল ইসলাম
মে দিবস মানে হ’লো শ্রমিক সাফল্য, রক্তের বদলে ক্লিষ্ট বদনে প্রফুল্ল, খাটুনি নির্ভর নর – কুলে পুষ্প মাল্য। মে দিবস মানে হ’লো হেমার্কেট মূল্য প্রদানে ভুখা লোকের প্রাণের চাঞ্চল্য, শিকাগো শহরে দীন দৈনের সাফল্য, এমন দিবস যেন প্রাণের সাকুল্য। তবু প্রাণে কোনো ক্ষণ মে দিবস তুল্য নাহি চাহে ভবিষ্যতে দিয়ে
আমি এমন মাকাল ফল
সাবির আলি
ওহে মাকালফল! খুঁজে খুঁজে তোমায় সারা, শেষ পর্যন্ত আমার ডাকে দিলে সাড়া । আমায় খোঁজো তুমি , তবে আমায় চুমো তুমি । জানো না, আমি কতজন রে দিয়েছি ধোকা, আমায় খোঁজে যারা, তারা তো আস্ত বোকা।
ধ্রুবতারা
মোঃ ইজাজ আহামেদ
আকাশে ধ্রুবতারা, আমার মনের ঘরে উঁকি দিচ্ছে তোমার স্মৃতিরা, আকাশের এই ধ্রুবতারা দেখে হাতে হাত রেখে পাড়ি দিয়েছিলাম নদী পেরিয়ে এক প্রান্তরে, দিগন্তরেখায় ঝুলছিল একফালি শশী, হৃদয়ের আকাশে আনন্দের ধ্রুব তারা মারছিল উঁকি, আমাদের বাগযন্ত্র আনন্দে আত্মহারা হয়ে পারছিল না কিছু বলতে, শুধু শোনা যাচ্ছিল হৃদের সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের শব্দ
হলদে চাঁদ
মোঃ ইজাজ আহামেদ
হলদে পূর্ণিমা চাঁদ আকাশে, মেঘেরা দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছে তারই চার পাশে জ্যোৎস্না স্নান করবে বলে ঠিক যেমন নদীতে লোকেরা স্নান করতে আসে; আমার গুরু মস্তিষ্ক দিলো জাগিয়ে তোমার- আমার সেই স্মৃতিকে; তুমি আর আমি গোলাকার চন্দ্রের নিচে বসে কাটিয়েছিলাম সময় এক জোছনা প্লাবিত প্রান্তরে; কত কথাই না বলেছিলাম
মা
মোঃ ইজাজ আহামেদ
প্রথম ছোঁয়া মা, প্রথম জগৎ মা, পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ দেখার আগের জগৎ মাতৃ জঠরে জোঁকের মত বেঁচে থাকার রসদ খেয়ে বেড়ে ওঠা, মায়ের হৃদস্পন্দন শোনা, মাতৃ ভাষা শেখা গর্ভে থেকে, ধরণীর আলো দেখা, বিকশিত হওয়া মাতৃ অমৃত সুধা পান করে; সারা জীবন করলেও সেবা, হয়না পরিশোধ মায়ের ঋণের বোঝা;
কাল
মোঃ ইজাজ আহামেদ
পৃথিবীটা আজ নিদারুণ যন্ত্রনায় ভুগছে, তার দেহ ক্লিষ্ট বিবিধ ব্যাধিতে; মানুষের মনও আজ পীড়িত; সাম্প্রদায়িকতা,শোষণ,অত্যাচার,রাজত্ব করছে মানুষের মনের রাজ্যে; তারা দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে মনের পথে পথে, মনের এক দেশ থেকে আরেক দেশ জয় করে চলেছে অনায়াসে; সম্প্রীতির, মানবতার সৈনিকরা দুর্বল হয়ে পড়েছে; থামাতে পারছেনা তাদেরকে। আমার বিশ্বাস আবার সম্প্রীতির, মানবতার
‘ বা ‘ রূপে সুধাংশু
ইমদাদুল ইসলাম
পূর্বে মোরা দেখিয়াছি চন্দ্র বিন্দু-মুখী রমজান কিম্বা ঈদের চন্দ্র পশ্চিম অম্বর ঝুঁকি। অদ্য দেখি বিরল কিছু ওই চন্দ্র রূপে, আরবি বর্ণ ‘বা’
দিনের আলোয় নিখোঁজ হলে
হান্নান বিশ্বাস
আজও হাওয়ার মত আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছি কিনা তুমিই জানো ভালো করে হৃদয় পোড়া গন্ধ আজও ম ম করে বাতাসে নাক ছুঁয়ে যায় কিনা জানিনা হারানো স্মৃতিরা মাছির মত জ্বালাতন করে নিঃসঙ্গ মনটাকে বারবার সাঁঝের ঝিঙে ফুলের মত হাসি বেহায়া চোখে ফিরে ফিরে আসে আজও অমানিষার বুক চিরে সেদিন ভূমিষ্ঠ হয়েছিলে
শেষ রাতের চাঁদ
ডাঃ মুহঃ মানওয়ার হোসেন
রাতের বার্ধক্যের সন্তান হয়ে জীবন আকাশে জন্ম নিয়েছে বিকলাঙ্গ চাঁদ। স্বল্পমেয়াদি পালা নিয়ে রঙ্গমঞ্চে। নির্ধারিত সূর্যের তেজে নিরীহ টিকতে পারছে কই! তবে চাঁদের জন্মে মায়ের বন্ধ্যা দোষ কেটেছে এটাই ঢের নইকি ! কত লম্বা জীবন কেটে যায় অন্ধকারে সে তো আলো করেছে জগৎ মায়ের কোল।
কবিতার পসরা
ইমদাদুল ইসলাম
নহে কভু অধিক সোজা ওই কবিতার পসরা, সাজাই তারে খোশ মেজাজে যেমন খুশি আমরা। আছে অনেক নিয়ম কানুন কবিতার ওই ভাঁজে, চরণ শেষে ধ্বনির মিলেই