|
---|
প্রথম ছোঁয়া মা, প্রথম জগৎ মা,
পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ দেখার আগের জগৎ মাতৃ জঠরে
জোঁকের মত বেঁচে থাকার রসদ খেয়ে বেড়ে ওঠা,
মায়ের হৃদস্পন্দন শোনা,
মাতৃ ভাষা শেখা গর্ভে থেকে,
ধরণীর আলো দেখা, বিকশিত হওয়া মাতৃ অমৃত সুধা পান করে;
সারা জীবন করলেও সেবা,
হয়না পরিশোধ মায়ের ঋণের বোঝা;
স্নেহের, দয়ার, মায়ার, প্রথম গুরুর আরেক নাম মা;
পৃথিবীর সেরা শিক্ষক মা;
নিজে না খেয়ে সমস্ত সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে
ছেলে মেয়ের সুখের স্বপ্ন দেখে মা;
সমস্ত দুঃখ কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়ে
ছেলে মেয়ের সুখ,স্বপ্ন খোঁজে মা;
জিপসির মতো
কখনও বা ভিক্ষুকের মতোও
জীবন -জীবিকা নির্বাহ করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করবে বলে;
ছেলেমেয়ের বিপদ- আপদ ঘটলে
তাঁর নিউরোন টেলিপ্যাথির মাধম্যে বার্তা নিয়ে আসে মস্তিষ্কে;
বিচলিত হয়ে উঠে তাঁর দেহ-মন আসন্ন বিপদ সংকেতে;
যায় বেড়ে সিস্টোল ও ডায়াস্টোল,
বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন;
মনের ক্যানভাসে তাদের জীবন্ত ছবি ফুটে উঠে ভবিষ্যৎ স্মৃতির জন্য;
তারা দুঃখ কষ্ট দিলেও এক বুক আদর, এক বুক স্নেহ,
এক আকাশ ভালোবাসা, দু- চোখ ভরা স্বপ্ন,
হৃদয়ভরা দোয়া উজাড় করে দেয় তাদের সুখ শান্তির জন্য;
মায়ের পায়ের নিচে স্বর্গ,
স্বর্গ পেতে হলে ভাই তাঁর সেবা করো।