|
---|
দেশটা এগিয়ে গেছে—
মাছিমারা কেরানীর মতো এই শব্দগুলোয় কোনো আবেগ নেই,
উন্মাদনা আছে—
সৃষ্টির উন্মাদনা,
প্রগতির পথে অদ্ভুত সব নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার।
মোবাইলের মতোই ইউজ এন্ড থ্রো হয়েছে কত দামি জিনিস ,
দ্রুত বদলে আরও আধুনিক কিছু সৃষ্টি হচ্ছে—
অতীতের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে আরও কত হবে।
সূক্ষ্ম কারুকার্যখচিত নিদর্শনগুলো এভাবেই সভ্যতায় বিলীন হয়ে যাবে একদিন নবায়নের বিকাশে।
রঙিন পৃথিবীতে পিছন ফিরে তাকানোর সময় নেই
এগিয়ে চলার প্রতিশ্রুতিতে স্বার্থই একমাত্র অবিচল ,
বিক্রি হচ্ছে ন্যায়, নীতি, মাথা—
মাটিতে লুটিয়ে কাঁদছে সততা ।
রঙিন ফানুস উড়িয়ে ছুটছে মানুষ ,
সভ্যতার নিপুণ দক্ষতা যে আদিম সভ্যতার দৃঢ় প্রত্যয়েই লুকানো ছিল সেটা বুঝিয়ে গিয়েছিল বোবা শিল্পীরা।
শিল্পীরা বোবাই আছে—
তবে তাদের অব্যক্ত ক্রন্দন ধরা পড়ে রংতুলির আঁচড়ে ।
সভ্য হত্যালীলার ছায়াছবিতে,
জীর্ণ পোশাক মলিন বদনে ক্ষুধার্ত শিশুমুখে ,
এ দেশের এক কোণে বসে শীর্ণকায় বুড়ির উন্নয়নের কুলোতে চালের খুদ পাছরানোর দৃশ্য জ্বলজ্বল করছে মার্বেল কাগজে !
প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত মৌন মিছিল নারী ধর্ষণের!
সভ্যতার আগুনে পুড়ছে শিক্ষিত যুবক!
আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত চিত্রশিল্পীদের আঁকা হয়ে গেছে—
আলো আঁধারির আকাশে নীড়হারা পাখি উদভ্রান্ত !
পাখনার অস্থি দূর্বল তার—
উপরে ওড়ার চেষ্টা করতেই মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ,
বোধহয় ওগুলো পাখিরূপী নবপ্রজন্মের অসাড় দেহ।
আধুনিক নয়, অতি আধুনিক মানুষেরা ছবিটা দেখে ঠিকই চিনতে পারছে !
দেশটার এগিয়ে যাওয়ার এমন অদ্ভুত ছবি শিল্পীরাই কেবল আঁকতে পারে।