|
---|
জীবন খুবই সামান্য। সময়ের কাছে একান্ত নিরুপায়
কত পথ অসম্পূর্ণ, একসাথে হাঁটা হয় না
বাকি থাকে কত দৃষ্টিবিনিময়, কত স্পর্শের চুপকথা
কত হাঁটাপথ একা একা ফিরে যায়
পরবাসী নদী তুমি, স্রোতে ভেসে যাও দ্রুত
আমি অসহায় কবি, কবিতায় মরে পড়ে থাকি
মায়াকে আগলে রাখি, ভালবেসে শূন্যতা জড়িয়ে কাঁদি
কেউ শুনতে পায়না সে অব্যক্ত কষ্টলিপি
অধরা স্বপ্নের ভার নামিয়ে রাখে হৃদয়
একে একে পাল্টে যায় অভ্যাস, আবেগ, আকুলতা
কিছু অনুভূতি থাকে, যা অতি সরল ও কোমল
যা খুব পবিত্রতায় ঢাকা, যেখানে কোনও ভান নেই, মিথ্যা নেই, পাপ নেই।
এইসব অনুভব ঐশ্বরিক, এখানে নক্ষত্র জন্মায়
জীবনকে আলোকিত করে, স্নিগ্ধ ভোরের মতো সুন্দর করে।
একটি জীবনকাল বড় সংক্ষিপ্ত
তাই এত বেদনার বাহার, এত ছায়াবহুল হাহাকার
পথ খুব কম। অদম্য হাওয়ার সামনে দুলতে থাকে
পদ্মপাতার উপর একবিন্দু জলের মতো আয়ু
অলক্ষ্যে টুপ করে ঝরে যায়। শেষ হয় সব লেনদেন।
প্রিয়জন হাত ছেড়ে চলে যায় আপন গন্তব্যে
একলা আমি গোধূলিকে আঁকড়ে ধরি
শুধু চলে যাওয়া দেখি, যতটুকু দেখা যায়, দেখি
তুমি ধীরে পায়ে হেঁটে হেঁটে মিশে যাও দিগন্তে
অসহায় চিৎকার করি আমি, চোখ ভিজে যায় কান্নায়
জীবন এসব দেখেও কিছু করতে পারে না
বলে, ‘যেতে তো হবেই, আজ না হয় কাল’ !