|
---|
রাতের আকাশে তাকালে নক্ষত্র খসে পড়ে
দিনের আলোতে ধূলায় মলিন মুখখানি
চাঁদের রোশনি লেগে অপরূপ ভাবে গড়ে
তোমার আদলে আমার বলে যাকে জানি।
সে একান্ত আমার তবু অনেক দূরের অধিবাসী
মেঘ মেঘালীর ফাঁকে উঁকি দেয় সেই চেনা মুখ
দেখে মনে হয় আমি তাকে আজন্ম ভালোবাসি
এই ভালোবাসা সর্বগ্ৰাসী অপরিবর্তনীয় অভিমুখ।
মধ্যাহ্নের প্রখর রৌদ্র হয়ে পুড়ায় পায়ের পাতা
সায়াহ্নের শান্ত সুষমায় তুলে ধরে আমার চিবুক
বলে, তুমি এই মৃদু আলোয় বসে কবিতার খাতা
খুলে, আমার জন্য ফোটাও অপরূপ কিংশুক।
আমি শিল্পী নই স্রষ্টাও নই অপরূপ সেই সৃষ্টি
চোখের তারায় জ্বলে আসে না তুলির টানে
কবিতার খাতা খুলে বসলে রং ধুয়ে দেয় বৃষ্টি
এই অধরা শিল্পের অর্থ খুঁজে মরি অভিধানে।
বুঝেছি তোমার চাওয়া ফুটবে না পুস্পের মতো
কবিতার খাতায় কিংবা শিল্পীর তুলিতে ইজেলে
এই ব্যর্থতা চিরদিন কাঁটা হয়ে বিঁধবে অবিরত
তুমি কি বাড়াবে হাত প্রস্ফুটিত কিংশুক পেলে?