কবিতার কাফেলা

আমি নিজের চোখেই নিজের মৃত্যু দেখেছি অনেকবার নিজ হাতেই বুকে যন্ত্রনা লিখেছি বারবার নিরেট পাথরের বুকে এঁকেছি শব্দের আল্পনা লাগিয়েছি শ্রবণ যন্ত্র হার্টবিট খুঁজে পাইনি তবুও…… আমি সাগরের বুকে মাস্তুল উড়িয়েছি শতবার অ্যমাজনের ঠোঁটে আগুন জ্বালিয়েছি কয়েক বার জলন্ত সিগারেটের অবশিষ্টাংশের মতোই আগ্নেয়গিরির গলা টিপে আগুন মেরেছি তাপমান যন্ত্রে উত্তাপ

চাঁদের দখলে আমার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত আলগা করিনি কখনও ঝরনার জলের মতো পাথরের বুক চুঁইয়ে নেমেছি অনেক বার পিরামিডের মতো তল আর মাথায় একটা বিগ জিরো একটু বাতাস চাইতেই সিলিং ফ্যানের সে কি যে অহংকার মশা চাইলেই,কি জ্বালা দুর দুর শালা হাত বাড়ালেই দু-প্যাক

আকাশ চ’ষে মুক্তো বুনে ভ্রূণ ফুটেছে ফল ধরেনি কোনদিন মনের চাষে ঘুম ভেঙেছে বাগান জুড়ে সুপ্ত প্রেমের মঞ্জরী হাওয়ার জোরে ছিন্ন কুড়ি পাপড়ি ছিঁড়ে পাখির মতোই বাগান ছুট জমিন চ’ষে সভ্যতমের নেশার ভাণে চোখের তাঁরায় ছাদবাগান অ-সুখ যত পড়ছে ঝরে গাছের তলে অত্যাধুনিক স্ক্যাণ্ডালে শ্যাওলা যত ভাসছে জলে হাঁসের মতোই

ভেজা ওড়নার আড়ালে জ্বলন্ত পিরামিড মমিরা উঁই পোকার মত উড়ছে অপরাজিতায় নিষিক্ত চোখ উদ্বেলিত মন ঝঞ্ঝার কবলে তনু দেশ ঢেউয়ে ঢেউয়ে দুলছে তরী বইছে স্রোত দু-পাড়ে মাতাল কাশ বন বিবশ বসন্ত উষ্ণতার ঝাঁঝে ভোল বদলে কোকিল নিষ্ঠাবান উড়ু উড়ু পাখিরা মেলছে ডানা ক্ষণিকের নেশা দিবস শেষে নিঃশর্ত আত্মদান

ছুঁয়ে দিলেই মেঘ হতে আমি হতেম নব পল্লব শাখার জঠরে প্রেম দিয়ে নিঃস্ব হলে চাঁদের আলোর আঁজলা দিতে হৃদয় ভ’রে দৃষ্টি দিলে নিমক হতে তাসের ঘরে বাসর হত গ্লাসের তলে কথা দিলে সাগর হতে থমকে যেতাম ঝিনুক খুঁজে মুক্তো পেলে মৃদু হাওয়াই কেশ ভাসালে বুঝেই নিতেম শেলের মত আছ সেঁধে

হিংস্র দাঁতে স্রোতে বসে প্রতিনিয়ত চিবিয়ে খাচ্ছি মনুষ্যত্ব কাকের মত ঠোকরাচ্ছি নিজের হৃদয় চুয়ে পড়ছে রক্ত,রস বিবেক গলে তরল কার্যকারিতায় বড্ড অক্ষম হচ্ছে মন স্বচ্ছ জলে আঁধার বলয় চোখে চালশে তাই দিনের মতোই দেখি পুঁথি-জ্ঞান সাবমেরিনের মতোই নিমজ্জিত জলে মাঝে মাঝে শ্বাস নিতে ওঠে অকারণে হাসির ফোয়ারা বোগেনভেলিয়ার হার্টবিট কমছে

উত্তল কাঁচের ভিতর দিয়ে চলতে চলতেই শেষ হল পায়ে হাঁটা পথ সরণের মান শূণ্য হলে বুঝতে হবে পৃথিবীর একপাক পূর্ণ হল বেশি কচি পাতা জন্মালেই জানতে হবে গাছটি পর্ণমোচী ছিল বেশি আম্র ফুলে নাকি ধানের শীষে প্রচুর দুধ জমতে দেখা যায় অবতলে দেখলে তো পৃথিবীকেই হাবাগবা মনে হয়

ভুলে আছি অনেক সময় আর এসো না বসন্তের-ই এই ক্ষণে সুরে সুরে উদাস ক’রে যাও যে কোথা প্রেম জাগিয়ে এই মনে ছাঁকনী জালে যাচ্ছে গ’লে নিত্য দিনই কষ্টের সব দিনগুলি কাকের কণ্ঠ শুনে শুনে গা সয়েছি তাইতো তোমার সুর ভুলি চড়াই পাখির দুঠোঁট চেপে খড় যোগাড়েই দিন যাপনে বুক ফাটে

শৈশব, কৈশোর, হারিয়েছে, এখন বার্ধক্যের দুয়ারে তবু কেন বারবার শৈশব মনে আসছে, তখন বড় সুখেই ছিলাম বেশ,এত টাকা ছিলনা তবুও যেন সতেজতা,সরলতা ভরে ছিল নিষ্পাপ হৃদয়ে। ছোটো ভাইকে নিয়ে রেল দেখতে যাওয়া কেবিন ম্যানের জোরে ছুটে আসা,ভয়ে পালানো, জলপাই সবুজ বগি ভরতি রেলগাড়ি, ভীত মনে কাঁদো কাঁদো হৃদয়ে দৌড়ে এসে