আলো
খায়রুল আনাম
জীবনের আলো অঙ্গ প্রত্যঙ্গে রৌদ্র ছায়ার বাষ্পীয় আলিঙ্গনে কৌতুহলী প্রতিক্ষায়, জীবনের আলো ভাসে স্রোতে জীবন খুঁজে বেড়ায়। মৃত্যু ভোলা রাতের চাপা হাসি অজানা আনন্দে উন্মাদ, আছাড় খাওয়া ঢেউয়ে জীবনের আলো সারা অঙ্গ প্রত্যঙ্গে। লজ্জার মাথা খায় জীবনযন্ত্রণা প্রেমের দরজায় উন্মুখ বৈধতার চাবি হাতে ফিসফাস জীবনের আলোয় অশান্ত আনন্দ। জীবনের খোঁজে
কী রৌদ্র
উম্মে রুম্মান
আজকের রৌদ্র, জীবন আধো আলো ছায়া মাখা, অতি অতি অতি ভদ্র, সঙ্গে ছিলো না মাথার ছত্র, হচ্ছিলাম বাসের মধ্যে বিরক্ত। রোজা অবস্থায় মন ছিলো অতি শক্ত। বয়স তো বাড়ছে তাই মন, বলি তোরে, জীবন টা এই ভাবে অবহেলায় ভাসাস না রে। হালাল পথে করুন উপার্জন, হারিও না জীবন, পাঁপকাজে না
কালী মাখা কালবেলা
উম্মে রুম্মান
হ্যাঁ আমি ভালো থাকবো, প্রখর রোদ্দুরে, ছায়ার অস্তিত্ব নিয়ে, ভালো থাকবো। আজকালের পাতায়, ভালো থাকবো, রৌদ্রের সান্নিধ্যে, পুষ্প পুষ্প বোনে। নিরন্তর অবলীলায়, কায়া আর কালী মাখা কাল বেলায়, বেঁচে থাকার নবো আশায়। কলমে নয় মর্মে, যৌবনে নয় জীবনে, রাস্তার প্রান্তরে, হয়তো কখনো ফুটপাথ,কিংবা রাজপথ- দিয়ে চলতে চলতে।
দেখা হবে আমাদের যুদ্ধের পরে
দেবজিৎ মুখার্জি
দেখা হবে আমাদের যুদ্ধের পরে আসবো ছুটে কাছে তোমার। ততদিন করো তুমি অপেক্ষা পথ দেখতে থেকো আমার। দেখা হবে আমাদের যুদ্ধের পরে সব বাধা বিপদ পেরিয়ে। ততদিন শুনোনা কারোর কথা জেও তুমি ওসব এড়িয়ে। দেখা হবে আমাদের যুদ্ধের পরে ফিরবে আবার সেই খুশির দিন। একটু করো মনকে নিজের শক্ত জীবন
জীবন ও দেশে
উম্মে রুম্মান
ও ও ও বন্ধু, শোনো, শোনো,শোনো না!! বলছি মা বলেছিলো,, ‘নিজ পছন্দে বিয়ে করিস,’ আমি বলি মা ” আমার তো লজ্জা আছে না কী?” যাকে তাকে হুট্ করে তো আর বলা যায়না ‘ বিয়ের কথা,’ তাই নয় কী? মা বললেন তা তো তুই ঠিকই বলিস l কিন্তু ওই মেয়ে,ওই মেয়ে,
তোমার মনে পড়া
ফারহান আক্তার
মনে পড় তুমি , জোছনা রাতে চাঁদের আলোয় মৃদু হওয়াতে । মনে পড় তুমি, ছাদের সেই কোণেটা তে গাছ থেকে পড়তে থাকা শুকনো পাতার মৃদু শব্দে । মনে পড় তুমি, ডায়েরির প্রথম পাতায় কালো রঙের লেখা কালিটায় । মনে পড় তুমি, চলমান বাসে শুন্য হয়ে পড়ে থাকা পাশের সিট-টায় মনে
কবি
মহসীন মল্লিক
ঠাণ্ডা হিম হিমের শরীর খুঁড়ে কঠিন চোখের গভীরের বুকে দেখেছি লুকিয়ে রয়েছে না বলা অনেক গল্প… প্রেমের পরত পরতের পর পরতে হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে অনুভবে মেপে জুকে পেয়েছি ঠিকানা বিষাদের শোক অল্প… কিছুই তো জানিনা তবু ক্ষীণ আন্দাজে হাসি মুখ ছুঁই মুখের মুকুরে ফুটেছে অতীত জাগানো স্মৃতি সুন্দর কিছু ছবি…
ইংলিশ কিংবা চোলাই
মহম্মদ মফিজুল ইসলাম
সপ্তাহে সাত বার অথবা যদি বারে যাও বারবার, পান করো ইংলিশ কিংবা কখনও মহুল-বাংলা কিংবা দিশি চোলাই, কেনো যদি এক পেগ অথবা আঠাশের পাউচ, দেখে সস্তা, কয়েক বস্তা পান করো আকণ্ঠ৷ যদি হও বেঁহুশ অথবা বেসামাল কিংবা মাতাল, বলবে না কেউ আর— অসভ্য, বর্বর৷ চোখে যদি তারা ফোটে কপালে দূর-ছাই
নতুন বছর
উম্মে রুম্মান
নতুন বছর, নতুন অঙ্গীকার, নতুন দিন, হোক কোভিড মুক্ত ও ওমিক্রন হীন৷ জীবন,পথ চলা হোক শুভ, বদ্ধ দূষণ থেকে হয় যেন মুক্ত, মনোবাসনা হোক সবার পূর্ণ, জীবন জটিল নয়, নয়, নয়, নয় ভয়, হয় যেন বিজয়৷ দুর্গন্ধ যুক্ত পরিবেশ ভরুক সুগন্ধে, প্রতিবন্ধী মন হয় যেন পুণ্য কর্মে৷ মানুষ বড় হয়
বেঁচে থাকার স্বস্তি
রুস্তম আলী
মানুষ জলে অক্সিজেন নিতে পারে না তাই জলে বাস করতে পারে না, স্থলে বাস করে৷ আবার মাছ স্থলে বাস করতে পারে না জলে বাস করে এমনও প্রাণী আছে যারা জলে স্থলে উভয় স্থানেই থাকতে পারে এ সবই কিন্তু উপরওয়ালার অবদান৷ তাই বলি,’’হে প্রভু সুখের বিপরীতে কষ্ট যদি দাও সে কষ্ট