ষোলো ছুঁই ছুঁই
সালেহা খাতুন
স্কুলের তৃনা বলে ছিল,তুই কি হ্যান্ডসাম রে! ধমকের সুরে বলে ছিলাম, তাতে তোর কি? বাড়ি ফিরে নিজেকে আয়নায় ধরি, বারবার চিরুনি দিয়ে চুল ঠিক করি। ভাবতে শুরু করি,বড়ো হয়ে গেছি, বাড়ির লোকের কথায়, এখনো ছোট আছি। মা বলে বেড়েছো মাথায়, কাজে নয়! দুশ্চিন্তায় বাবা বলে, তুমি যদি একটু বড় হতে
তোমাকে পাওয়া
সৈয়দ হাস্নে আরা
তুমিই তো সাহিত্যের সারা আকাশ ভুবন-ভরা গান-কবিতার আলো, অক্ষরে শব্দে দশ দিগন্তে শুধুই ভালো! তোমার কলমে দুর্নিবার জয়টিকা বাইশে শ্রাবণ সেই দীপশিখা … প্রাণের অতলে,মনের গভীরে, কালির আঁচড়ে ওঠে যে ছবি সেই গুরুইতো চির-অম্লান অস্তহীন চির-উজ্জ্বল রবি! অস্তাচলে যাওনি তুমি ফিরে… দাঁড়িয়ে আছো মহামানবের সাগরতীরে! যে স্মৃতি ছুঁয়ে থাকে ভরা
বংশগতি
মুস্তারী বেগম
আমরা সেসব বহতা নদী কখনো শুকিয়ে বালি আমরা সেসব নৌকার দাঁড় কখনো উনুনে গলি। আমরা সেই পরিচিত মুখ একঝাঁক প্রজাপতি আবার আমরা শুকনো লাশ আমাদের নেই গতি। আমরা মানুষ, আমরা মুনিষ আমরা প্রিয়জন পরিত্যক্ত ,লবনাক্ত আমরাই এ ভুবন। একদিকে হাতে মশালের আলো আর দিকে ঘৃতাহুতি আমাদের কাঠ আমাদের ছায়ে কয়লার
এখন দিনের মধ্যভাগ
সালেহা খাতুন
এখন দিনের মধ্যভাগ প্রকৃতি আজ বেসামাল। প্রকৃতিকে কাকপক্ষী চেনে মানুষ সে তুলনায় চেনে কম। সূর্য নিজেকে সরিয়ে নিলো, আকাশ সাজলো ঘোর অন্ধকারে। দুরুদুরু বুকের কলধ্বনি কেউ খোঁজে আপন ছানা কেউ খোঁজে সঙ্গিনী। এলো বৃষ্টি পুকুরের জলে বৃষ্টির ছন্দে এলোমেলো আমি। যদি কিছুটা ধার পাই,উদগ্ৰীব তাই, কান পেতে শুনি । মসজিদের
দূর শিক্ষা
মুস্তারী বেগম
এক সময় অশ্রু ঝরতো যেমন ঝরে পাতা সেদিন আমি বিরূৎ ছিলেম আজ কলমী লতা। ব্যথায় বোঝা হৃদপিন্ড শুকিয়ে কঠিন ,লাল আমরা কাঁদতে ভুলেই গেছি এখন আকাল। রক্ত আজ কঠিন বারুদ অশ্রু হিমালয় সামনে শমন ,পিছলে বমন ভয় আর শুধু ভয়। জানের ভয় করিনাকো সেটাও মৃতপ্রায় দূরে দেখি অনেক শ্লোগা নদী
যাওয়ার সময় হয়ে এল
মহম্মদ সামিম
জীবন খুবই সামান্য। সময়ের কাছে একান্ত নিরুপায় কত পথ অসম্পূর্ণ, একসাথে হাঁটা হয় না বাকি থাকে কত দৃষ্টিবিনিময়, কত স্পর্শের চুপকথা কত হাঁটাপথ একা একা ফিরে যায় পরবাসী নদী তুমি, স্রোতে ভেসে যাও দ্রুত আমি অসহায় কবি, কবিতায় মরে পড়ে থাকি মায়াকে আগলে রাখি, ভালবেসে শূন্যতা জড়িয়ে কাঁদি কেউ শুনতে
দেশটা এগিয়ে গেছে
চায়না খাতুন
দেশটা এগিয়ে গেছে— মাছিমারা কেরানীর মতো এই শব্দগুলোয় কোনো আবেগ নেই, উন্মাদনা আছে— সৃষ্টির উন্মাদনা, প্রগতির পথে অদ্ভুত সব নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার। মোবাইলের মতোই ইউজ এন্ড থ্রো হয়েছে কত দামি জিনিস , দ্রুত বদলে আরও আধুনিক কিছু সৃষ্টি হচ্ছে— অতীতের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে আরও কত হবে। সূক্ষ্ম কারুকার্যখচিত নিদর্শনগুলো
দয়াল-দাতা
আসগার আলি মণ্ডল
ক্ষমা করো দয়াল-দাতা করো গুনাহ্ মাপ দু’হাত তুলে চাইছি ক্ষমা করছি অনুতাপ। এই দুনিয়ায় চলা-ফেরা সহজ কথা নয় সঠিক দিশা দাও গো প্রভু তুমি দয়াময়। আমি পাপী বান্দা তোমার তুমি আমার ত্রাতা গুনাহ্ যত মাপ করবে তুমি মহান দাতা। হাসরের ময়দানে তুমি সবার বিচারপতি পাপি-তাপি তপ্ত-মনের তুমিই বোঝো গতি।
উত্তাপ
আমিনা তাবাসসুম
উষ্ণতার ছাপ কেটে গেছে বহুদিন হলো বহুদিন বৃষ্টি এখানে দু চোখের নালী কেটে নেমে আসে গোধূলির নৃত্য। সেসব দূরে রেখে সাহারায় প্রবল উত্তাপ। অথচ– যে প্রেমে ভেসে গেছে ঘর তার কাছে এসব কিছুই নয়।
রাত ডাকলে
আমিনা তাবাসসুম
রাত ডাকলে আমাকে যেতেই হয় যেভাবে মৃত্যু ডাকলে যেতে হয় প্রেম ডাকলে যেতে হয় সেভাবে নয় আরও আরও দ্রুত এবং আরও গভীরভাবে হেঁটে যাই আসলে ওখানেই আমি থাকি আমার সত্তা এবং যেটুকু আসল থাকে সুদ ছাড়া টুকে নিই বুকের পাঁজরে তারপর যা কিছু পড়ে থাকে মুখোশ আর নেতিবাচক শক্তি